ভাষা ও বাংলা ভাষা । বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি নবম-দশম শ্রেণি । Nahid Hasan Munnna
গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিভ, তালু, দাঁত, নাক প্রভৃতি প্রত্যঙ্গ দিয়ে মানুষ নানা রকম ধ্বনি তৈরি করে। এক বা একাধিক ধ্বনি
গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিভ, তালু, দাঁত, নাক প্রভৃতি প্রত্যঙ্গ দিয়ে মানুষ নানা রকম ধ্বনি তৈরি করে। এক বা একাধিক ধ্বনি
ব্যাকরণে ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি নিয়ে আলােচনা করা হয়। ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার মধ্যকার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য
অধিকাংশ ভাষায় অন্তত দুটি রীতি থাকে: ১. কথ্য ভাষা রীতি ও ২. লেখ্য ভাষা রীতি। বাংলা ভাষায় এসব রীতির একাধিক
ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেসব প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলােকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে। মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোট পর্যন্ত
ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় ৩৭টি মৌলিক ধ্বনি রয়েছে। এই ধ্বনিগুলােকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: স্বরধ্বনি ও
উচ্চারণের সময়ে জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, জিভের সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং ঠোটের উনুক্তি অনুযায়ী স্বরধ্বনি কে ভাগ করা হয়। নিচের ছক
উচ্চারণের স্থান ও প্রকৃতি এবং ধ্বনির কম্পন ও বায়ুপ্রবাহ বিবেচনায় ব্যঞ্জনধ্বনিকে অন্তত চার ধরনে ভাগ করা যায়: ১. উচ্চারণস্থান অনুযায়ী
বর্ণের উচ্চারণ : বাংলা ভাষায় ৩৭টি মূল ধ্বনিকে প্রকাশ করার জন্য রয়েছে ৫০টি মূল বর্ণ। এর মধ্যে অধিকাংশ বর্ণের উচ্চারণ
এক বা একাধিক ধ্বনি দিয়ে তৈরি শব্দের মূল অংশকে শব্দমূল বলে। শব্দমূলের এক নাম প্রকৃতি। প্রকৃতি দুই ধরনের: নামপ্রকৃতি ও
যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলােকে উপসর্গ বলে। অজানা (অ+জানা), অভিযােগ (অভি+যােগ), বেতার (বেতার)
শব্দ ও ধাতুর পরে অর্থহীন যেসব শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে প্রত্যয় বলে। যেমন – পঠ+অক=পাঠক; দিন+ইক
সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। বাক্যের মধ্যে পরস্পর সম্পর্কিত একাধিক পদের এক শব্দে পরিণত হওয়ার নাম সমাস। নিচের বাক্য দুটির
Nahid Hasan Munna is a passionate educator, writer, and founder of Nahid24. This is one of the largest online education platforms in Bangladesh. He teaches 2 lakh students on YouTube for free every day.