ক্রিয়া বিভক্তি । বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি নবম-দশম শ্রেণি । Nahid Hasan Munnna

ক্রিয়ার দুইটি অংশ: প্রথম অংশ ধাতু বা ক্রিয়ামূল এবং দ্বিতীয় অংশ ক্রিয়াবিভক্তি। ক্রিয়ামূলের সঙ্গে যেসব লগ্নক যুক্ত হয়ে ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশিত হয়, সেগুলােকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে। যেমন –

পড়ছি (পড়ু + ছি) – ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বােঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা বক্তা পক্ষের এবং এটা দিয়ে ঘটমান বর্তমান কালের পড়া ক্রিয়াকে বােঝায়।

পড়বেন (পড়ু + বেন) – ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বােঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা শ্রোতা পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের পড়া ক্রিয়াকে বােঝায়।

পড়ছিল (পডু + ছিল) – ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বােঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা অন্য পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ অতীত কালের পড়া ক্রিয়াকে বােঝায়।

উপরের উদাহরণগুলােতে ‘ছি’, ‘-বেন’, ‘ছিল’ – এগুলাে হলাে ক্রিয়াবিভক্তি। অধিকাংশ বাংলা ক্রিয়ার দুটি রূপ আছে: সাধারণ রূপ ও প্রযােজক রূপ। উভয় রূপের সঙ্গে যুক্ত ক্রিয়াবিভক্তির রূপ আলাদা। নিচের সারণিতে ক্রিয়ামূল ক’-এর সঙ্গে ক্রিয়াবিভক্তির প্রয়ােগ দেখানাে হলাে:

অনুশীলনী

১. ক্রিয়ার প্রথম অংশকে কী বলে?

ক. শব্দ

খ. শব্দমূল

গ. ধাতু

ঘ. ক্রিয়াবিভক্তি

২. ক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশকে কী বলে?

ক. ধ্বনি

খ. বর্ণ

গ. ধাতু

ঘ. ক্রিয়াবিভক্তি

৩. সাধারণ ক্রিয়ার বর্তমান কালে বক্তা পক্ষের ক্রিয়াবিভক্তি কোনটি?

ক. -ই (করি)

খ. -আই (করাই)

গ, -লে (করলে)

ঘ. -এন (করেন)

৪. প্রযােজক ক্রিয়ার সাধারণ অতীত কালে শ্রোতা পক্ষের মানী ক্রিয়াবিভক্তি কোনটি?

ক. -তি (করাতি)

খ. আলাম (করালাম)

গ. -ইয়েছি (করিয়েছি)

ঘ. -আলেন (করালেন)

৫. সাধারণ ক্রিয়ার নিত্য অতীত কালে শ্রোতা পক্ষের ঘনিষ্ঠ ক্রিয়াবিভক্তি কোনটি?

ক. -ব (করব)

খ. -তি (করতি)

গ. -বে (করবে)

ঘ. -এন (করেন)

৬. প্রযােজক ক্রিয়ার সাধারণত বর্তমান কালে বক্তা পক্ষের ক্রিয়াবিভক্তি কোনটি?

-ক. -আও (করাও)

খ. -আস (করাস)

গ. -আয় (করায়)

ঘ. -আই (করাই)

৭. নিচের কোনটি প্রযােজক ক্রিয়ার ভাবী অসমাপিকা ক্রিয়াবিভক্তি?

ক. -আনাে (করানাে)

খ -ইয়ে (করিয়ে)

গ. -আতে (করাতে)

ঘ. -আলে (করালে)

 

This article is written by :

Nahid Hasan Munna

University of Rajshahi

FOUNDER & CEO OF NAHID24

Follow him on FacebookInstagramYoutubeTwitterLinkedin

Leave a Comment