আজ কিছু না বলে পারলাম নাহ.. আমি এস এস সি তে ৩.৪৪ পাই তখন পাশাপাশি সিএনজি ও চালাই তারপর ১ বছর ড্রপ দিয়ে আবার সিএনজি চালাই। ২০১৭ সালে এস এস সি দেই ২০১৮ তে কলেজে ভর্তি হই তখন আমার ভাই একটা চাকরি পায় তাই আমাকে আর সিএনজি চালাইতে হয় নাই। আমি কলেজে খুব ভাল করতে থাকি প্রায় ৪ বিষয় প্রাইভেট পরতে হয়।
আমাকে নিজেকে তৈরি করতে আমার প্রায় অনেক সময় + অর্থ ব্যয় হয়। কলেজে প্রথম বর্ষের পরিক্ষায় আমি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি ; যেখানে জিপিএ ছিল ৪.০৮ রেজাল্টটা ছিল। আমার কষ্টের ফল ২য় বর্ষের নির্বাচনী পরিক্ষায় আমি তৃতীয় স্থান অর্জন করি । যেখানে আমার জিপিএ ছিল ৪.২৫। আমার স্যাররা আমাকে এ+ এর স্বপ্ন দেখাতো কিন্তু আমি ছিলাম সিএনজি চালক !!
যদি এইচ এস সি এক্সাম হইতো আমার স্যারদের স্বপ্নটা হয়তো সত্যি হত !! কিন্তু ২০২০ সালের অটোপাস আমার জীবনে নিয়ে আসে এক কান্নার পাহাড়। কত রাত যে আমি কান্না করি, অটোপাসে আমার রেজাল্ট ৩.২৫ লজ্জায় ঘর থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা, মনে হয় আত্মহত্যা করি। সেই কান্নার মাঝে আমাকে এখনো আল্লাহ বাচিয়ে রেখেছে। হাজারো হতাশা নিয়ে কোচিং এ যাই।
কোচিং এ আমি শুধু একটা পরিক্ষায় দ্বিতীয় হই। সবগুলোতে প্রথম, ঢাবি রাবির আশা আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল গুচ্ছু। গুচ্ছু কমিটি আমাকে বাচিয়ে রেখে ও মেরে ফেলেছে। জানতে পারলাম গুচ্ছে নাকি আমি পরিক্ষাই দিতে পারব না। কর্মাস থেকে দুটো মিলে জিপিএ চায় ৭.৫০। যেখানে আমার ৬.৬৭ বিশাল দুঃখ আর হতাশা নিয়ে কুমিল্লা থেকে বাড়িতে আসতে হয়। আমার জন্যই কি এত কষ্ট!! তবে কি আমার সিএনজি চালানো উচিৎ ছিল।
প্রতিদিন রাতে একটু একটু চোখের পানি আসতো; কিন্তু কি করার, এইটা কাউকে দেখানো যাবে না। সময়গুলো কাটছিল না প্রায় ৩ বছরের অধ্যবসায়ের ফল কি কান্না !! হঠাৎ রমযানের ৩-৪ টায় দেখলাম গুচ্ছে কর্মাসের আর্টসের আবেদন জিপিএ কমল। বিশ্বাস হইতেছিল না, এতক্ষনে অনেককিছু শেষ কিন্তু আমি মনে মনে খুশি হইলাম। আবেদনের তারিখ দিল, আবেদন করলাম, কিন্তু আগের মত পরার স্পিড পাইতেছি না। লাস্ট যেদিন গুচ্ছের তারিখ নির্ধারন হয়, সম্ভবত ২১ তারিখ, আমার হাতে সময় আছে ৩৯ দিন।
শুরু করলাম আগের নিয়মে ১৭/১৮ ঘণ্টা। আলহামদুলিল্লাহ, ১ নভেম্বর গুচ্ছের বাণিজ্যের ইউনিটের পরিক্ষা আমার ভালো হয়। ফলাফল ছিল ৬৭.২৫। আমার প্রশ্ন একবার যাতে জিপিএ দিয়ে আবেদন করছি, এখন কেন জিপিএ কন্ডিশন দেয়? ওদের কি বিবেক বলতে কিছু নাই? ভোকান্তির তো একটা সীমানা থাকা উচিৎ। যেইখানে ঢাবি জিপিএ ২০ নাম্বার, সেইযায়গায় জবি ১০০ কেন !
আপনাদের মাধ্যমে আমি সমাধান চাই। আর না হয় জবিকে বলেন আমাকে একমাস সময় দিয়ে আমার এইচ এস সি পরিক্ষা নিতে। আমি পরিক্ষা দিতে প্রস্তুত একবার জিপিএ দিয়ে আবেদন করে, আবার কেন জিপিএ চাইবে! সমাধান কি! আমি জানি ২০ টার মধ্যে আমার একটা হবেই ইনশাল্লাহ, কিন্তু জবি চাইলে আমার এইচ এস সি নিয়ে আমাকে ভর্তি করাক !! সমাধান চাই!! এই গল্পটি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর। তার নাম – ওমর ফারুক।
This article is written by :
University of Rajshahi
FOUNDER & CEO OF NAHID24
Follow him on Facebook, Instagram, Youtube, Twitter, Linkedin